অধিকৃত কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও আইনজীবী কাউকেই দেখা করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না।
এ অভিযোগ করেছেন মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা জাবেদ। কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সোমবারই গ্রেফতার করা হয় মেহবুবা মুফতিকে।

রোববার মধ্যরাত থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। বিশ্ব থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর থেকে মঙ্গলবার এক অডিও বার্তায় ইলতিজা এ অভিযোগ করেন। খবর এনডিটিভির।
ইলতিজা জাবেদ বলেন, ‘সোমবার মাকে (মেহবুবা মুফতি) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হরি নিবাস নামে পরিচিত সরকারি গেস্টহাউসে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের তার সংস্পর্শে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। দেখা করতে দেয়া হয়নি। টেলিফোন ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।’
মোবাইল ও টেলিফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় অডিও বার্তার মাধ্যমে এ তথ্য জানান ইলতিজা। তিনি আরও বলেন, এটা শুধু আমার মায়ের সঙ্গে করা হচ্ছে তা নয়, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, ভারত সরকার বুঝে গেছে তারা অন্যায় করেছে। তারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে অপরাধী ও দুর্বৃত্তের মতো ব্যবহার করছে।
ভারতীয় সংবিধানের যে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসিত রাজ্যের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল, গত সোমবার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ ঘোষণা দেন তিনি।
পরে ভারতশাসিত কাশ্মীরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও কারফিউ জারির মধ্যে দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে বিরোধীদের তীব্র বাধা ও বাকবিতণ্ডার মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত দুটি অঞ্চলে পরিণত করার বিলটি পাস হয়। গ্রেফতার করা হয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, নির্বাচিত রাজনীতিবিদকে।
পরে গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায়ও বিলটি পাস হয়। জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ সুবিধা বাতিলের পর সোমবার গ্রেফতার করা হয় রাজ্যটির দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে।
কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্সের দুই নেতা সাজ্জাদ লোন এবং ইমরান আনসারিকেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত রোববার মধ্যরাত থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন তারা।